শেষ মুহূর্তের গোলে চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে রানার্সআপ বাংলাদেশ

২ সপ্তাহ আগে
নিজেদের ভুলেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা খুইয়েছে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ভুটানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ভারতকে সেদিনই শিরোপা নিশ্চিতের সুযোগ করে দেয় লাল-সবুজের মেয়েরা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নেপালকে উড়িয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ভারতের মেয়েরা। তবে রোববার (৩১ আগস্ট) শেষ ম্যাচে ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শিরোপাজয়ী ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের স্কোরলাইন তখন ৩-৩, শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে ডি-বক্সের ভেতরে কোনাকুনি জায়গা থেকে শট নেন সৌরভী আকন্দ প্রীতি। ভারতের গোলরক্ষক মুন্নি লাফিয়ে উঠেও বল ফেরাতে ব্যর্থ হন, তবে সঙ্গে সঙ্গে পেছনে গিয়ে গোললাইন থেকে বল ফিস্ট করলেও তাদেরই এক ডিফেন্ডারের পায়ে বল জড়ায় জালে। আর তাতেই ৪-৩ গোলের জয়ে রানার্স আপ হয় বাংলাদেশ। 

 

ম্যাচের সময় তখন মাত্র ৩০ সেকেন্ড, কিক অফের পরই ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মামনি চাকমা। বল পেয়ে বুলেট গতিতে জাল খুঁজে নিলেন পুর্ণিমা মারমা। আর তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে দ্রুততম গোলের কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই নারী ফুটবলার। 

 

ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ফিরতি দেখায় তাদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে লাল-সবুজের মেয়েরা। আর সেদিই ভারতের সামনে শিরোপা নিশ্চিতের সুযোগ আসে। সেই সুযোগ লুফে নিতে কোনো ভুল করলো না ভারত। নেপালকে উড়িয়ে সেদিনই শিরোপা নিশ্চিত করলো তারা।

 

আরও পড়ুন: ফিফার নিষেধাজ্ঞায় বসুন্ধরা কিংস

 

এই আসরে শুধুমাত্র নেপালকেই দুবার হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে আসর শেষ করলো বাংলাদেশ।


ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষটা ভালো করার দারুণ সূচনা পেল পুর্ণিমা-প্রীতিরা। সপ্তম মিনিটে আনুশকা কুমারির শট লাগে ক্রসবারে। এই মিনিট দুয়েক পর নিজেদের বক্সের ওপরে তালগোল পাকিয়ে বল হারা অধিনায়ক অর্পিতা, সেই সুযোগেই বাংলাদেশের জালে বল জড়ান আনুশকা। দ্রুত বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলকিপারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে সমতা ফেরান তিনি।

 

২৪তম মিনিটে দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায় আনুশকার কোনাকুনি শট। তার ১০ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সৌরভী আকন্দ প্রীতির শট ফিরিয়ে দেন ভারতের ডিফেন্ডার, ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন আলাপি আক্তার।

 


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। সতীর্থের লম্বা পাস পেয়ে গতিতে ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন প্রীতি, ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান এই ফুটবলার। ৬৪ মিনিটে চিপ শটে লক্ষ্যভেদ করেন প্রীতিকা বর্মণ।

 

আরও পড়ুন: ৬৫৫ কোটি টাকায় ইউনাইটেড ছেড়ে চেলসিতে আর্জেন্টাইন তারকা

 

৭৬তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি প্রীতি। গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। বলের ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় বল চলে যায় গোলকিপার মুন্নির গ্লাভসে।

 

নির্ধারিত সময়ের মিনিট দুয়েক আগে সমতা টানে ভারত। বক্সের বাইরে থেকে উঁচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন নঙ্গমাইথেম। পোস্ট ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে আসায় লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলকিপার মেঘলা রানী।

 

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান গড়ে দেয় বাংলাদেশ। মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নেন প্রীতি, গোলকিপার ফিস্ট করার পর তাদেরই এক ডিফেন্ডারের পায়ে বল জালে জড়ায়। আর তাতেই ৪-৩ গোলের জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন