শেরপুরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ

৪ দিন আগে
শেরপুরে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বটতলায় ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চার দিনের ওই কন্য নবজাতকটি চুরি হয়।

চুরি যাওয়া ওই শিশুটি শেরপুর শহরের চাপাতলী মহল্লার ফিরোজ-আবেদা দম্পত্তির মেয়ে।


স্বজনরা জানা যায়, ২৫ জুন বুধবার সন্ধ্যায় আবেদা খাতুন সন্তান প্রসবের জন্য বটতলা এলাকার শেরপুর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর তাকে তিন তলায় ৩১০ নম্বর কেবিনে রাখা হয়। সেই রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশু জন্ম দেন আবেদা খাতুন। সব ঠিকঠাক থাকলেও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নবজাতকটিকে ৩১০ নাম্বার কেবিন থেকে চুরি করে নিয়ে যান এক নারী। দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।


আরও পড়ুন: কুর্মিটোলায় নবজাতক চুরি, দিশেহারা মা


শুধুমাত্র প্রধান ফটক ছাড়া অন্যান্য সিসি ক্যামেরাগুলো বন্ধ থাকার অভিযোগ স্বজনদের। সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে নবজাতক চোরকে পক্ষান্তরে সহযোগিতা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনটাও দাবি ভুক্তভোগিদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি স্বজনদের।


এ দিকে হাসপাতালটির প্রধান ফটকের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে কালো বোরকা পরা এক নারী একটি শিশুকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন।


হারিয়ে যাওয়া নবজাতকের মা আবেদা খাতুন বলেন, ‘আমি আজ কয়েক দিন ধরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখানেই আমার একটি মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে। আজ সকাল সাড়ের ৯টার দিকে বাচ্চাকে বিছানায় রেখে বাথরুমে যাই। বাথরুম থেকে ফিরে দেখি আমার বাচ্চা বিছানায় নাই। হাসপাতালের লোকজন আমার সন্তানকে চুরি করেছে। আমি আমার সন্তান ফেরত চাই।’


আরও পড়ুন: কালকিনিতে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ


শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমার দুটি ছেলে। এই শিশুটিই আমার একমাত্র মেয়ে। আজ সকালে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আমার নবজাতক মেয়েকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। শুধুমাত্র হাসপাতালের মেইন গেইটের সিসি ক্যামেরা চালু আছে। তিনতলার আমাদের কেবিন থেকে মেইন গেট পর্যন্ত যাতে কমপক্ষে চারটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো সব বন্ধ ছিল।’


তিনি আরও বলেন, ‘শিশু চুরির সঙ্গে হাসপাতালের লোকজন জড়িত না থাকলে সিসি ক্যামেরা চালুই থাকতো। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচার চাই এবং আমার নবজাতক শিশুকন্যাকে ফেরত চাই।’


ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক দিদারুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার মেমোরি ফুল হয়ে গেছে। তাই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ হচ্ছে না। আর আমাদের এখানে প্রতিদিন কয়েকশ’ রোগী ও তাদের স্বজনরা আসেন। আমরা সবাইকে তো আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি না।’


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি


শেরপুর জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা জানান, নবজাতক চুরির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ, শিঘ্রই ভালো কিছু জানাতে পারবো।


হারিয়ে যাওয়া নবজাতকের বাবা ফিরোজ মিয়া স্থানীয় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া নবজাতক তার একমাত্র মেয়ে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন