শেরপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৫ দিন আগে
বাংলা নববর্ষ (১ বৈশাখে) শেরপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় শেরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ বাস সার্ভিস কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই বাসসার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫টি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলো এই সার্ভিসের। যা’ সদরসহ অন্য চারটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করবে। বাস সার্ভিস পেতে শিক্ষার্থীদের কলেজ আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। আইডি কার্ড ছাড়া এ সেবা দেওয়া হবে না।


বাসগুলো প্রত্যেকটি রুটের প্রান্ত থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় শেরপুর সরকারি কলেজের উদ্দেশে যাত্র শুরু করবে এবং প্রতিদিন শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে দুপুর আড়াইটায় নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। যেসব রুটে বাসগুলো চলাচল করবে-

আরও পড়ুন: চৈত্রের শেষ দিনে ব্যাঙের পানচিনি ‘বিয়ে’

রুট নম্বর-১, ঝিনাইগাতী বাজার-আহম্মদনগর-পাগলার মোড়- তিনানী বাজার ব্রিজ-কাঠালতলী-কোয়ারী রোড-জুলগাঁও নতুন সড়ক-কালীবাড়ী বাজার-বাজিতখিলা- তাতালপুর হয়ে শেরপুর সরকারি কলেজ পর্যন্ত।
রুট নম্বর-২, শেরপুর সদরের ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ-ব্যাঙের মোড়-আমতলী বাজার-শিমুলতলী বাজার-পোড়াদহ বাজার-নন্দীর বাজার-নতুন সড়ক-বটতলা-কুসুমহাটী বাজার- শেরী ব্রিজ হয়ে শেরপুর সরকারি কলেজ পর্যন্ত।
রুট নম্বর-৩, শ্রীবরদীর মাঝপাড়া-বটতলা-শ্রীবরদী বাজার-মাটিয়াকুড়া-গাবতলী-তেনাচিড়া ব্রিজ-ভারেরা-কুরুয়া বাজার-কুড়িকাহনিয়া বাজার-ইন্দিলপুর বাজার-চিথলিয়া-আখের মাহমুদ বাজার-খোয়ারপাড় হয়ে শেরপুর সরকারি কলেজ।


রুট নম্বর-৪, নকলার গৌড়দ্বার-পাইস্কা মোড়-নকলা হলপট্টি-গণপদ্দী বাজার-তারাকান্দি বাজার- কানাশাখোলা বাজার-অষ্টমীতলা হয়ে শেরপুর সরকারি কলেজ পর্যন্ত।


রুট নম্বর-৫, নালিতাবাড়ীর গড়কান্দা চৌরাস্তা-বাইপাস-রাণীগাঁও বাজার-সন্নাশীভীটা ব্রীজ-পাঁচগাঁও বাজার-নলজুড়া বাজার-টেঙ্গাখালী মোড়-তিনানী বাজার ব্রীজ-কাঠালতলী-কোয়ারী রোড-জুলগাঁও নতুন সড়ক-খোয়ারপাড় হয়ে শেরপুর সরকারী কলেজ।

আরও পড়ুন: চীনের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবি

এদিকে বাস সার্ভিস চালুর খবরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন, অনেক সময় ভাড়া গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। সদরের চরাঞ্চলের অনেককে কখনও হেঁটেও কলেজে আসতে হয়েছে। এখন থেকে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলো। এছাড়া বাৎসরিক ভাড়া মাত্র ৩শ থেকে ৪শ’ টাকা।

এবিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ্ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়াশোনা করতে আসেন। অনেক শিক্ষার্থীর দৈনিক ভাড়া বাবদ ১৫০-২০০ টাকা খরচ হয়। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সহজে ও নিরাপদে কলেজে আসা-যাওয়া করতে পারবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন