সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা থেকে শুরু হওয়া এনসিপির দিনব্যাপী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে ডিমলা উপজেলার ডাঙ্গারহাটে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা যে স্বপ্নের জন্য রক্ত দিয়েছে, আমরা সেই সিস্টেমে সংস্কার দেখতে চাই। বর্তমান সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নয়, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক্রমেই তারা সরকারের অংশ হয়েছে। তাই নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে কোনো অপ্রাসঙ্গিক বা অযৌক্তিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
আগামী নির্বাচনে দল নয় ভালো মানুষকে বেছে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দুই ছাত্র উপদেষ্টা এনসিপির না, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি: হাসনাত
সাবেক সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি আগের এমপিরা টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনতেন। জনগণের কথা ভাবার পরিবর্তে দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত হয়ে নেতা তোষণে ব্যস্ত থাকতেন। নির্বাচনের আগে ৫০০/১০০০ টাকা দিয়ে ভোট কিনতেন, পরে জনগণের পকেট থেকেই হাজার হাজার টাকা নিতেন।’
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। নাহলে একসময় তারাই আপনাদের শ্বাসরোধ করবে। অটো, ট্রাক, পিকআপ সব জায়গা থেকেই চাঁদাবাজি চলছে। এরা যে দলেরই হোক, সময় এসেছে প্রতিহত করার।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘নীলফামারীতে একসময় জেলায় চাঁদাবাজি সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলায়। এই সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, নয়তো তারাই আপনাদের জিম্মি করে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতা আখতার ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
এ সময় সারজিস আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন, সাদিয়া ফারজানা দিনা এবং আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এরপর নাগরিক পার্টির নেতারা জলঢাকা,কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরে পথসভা করবেন।
]]>