শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো নিয়ে রিজভীর বক্তব্য ও পরে বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা

৩ সপ্তাহ আগে
বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ঘটনাকে "অযৌক্তিক" বলে মন্তব্য করার পরে কয়েক ঘণ্টা পর 'অপ্রত্যাশিত বক্তব্যের' জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুটি ঢাকায় দুটি ভিন্ন সভায় এই বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, "আপনারা এটি করতে পারেন, কিন্তু সময় সবসময় একইভাবে চলে না। সবার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, তার (শেখ মুজিবের) ছবি সরিয়ে ফেলা উচিত হয়নি।" রিজভী আরও বলেন, "জাতীয় জীবনে ব্যক্তির অবদান ইতিহাস শেষ পর্যন্ত বিচার করবে এবং যে কারও অবদান ও অপকর্মের মূল্যায়ন ও পরিমাপ করা জনগণের দায়িত্ব হওয়া উচিত।" এই বক্তব্য দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "আমি ভেবেছিলাম বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে, যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি রয়েছে। আসলে বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।" বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, "শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার আইন করে শেখ মুজিবের ছবি টাঙিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে।" শেখ হাসিনার শাসনামলের পতনের পর "ফ্যাসিবাদী আইনের" কোনো কার্যকারিতা থাকে না, বলে মনে করছেন রিজভী। নিজের আগের বক্তব্যকে "অনাকাঙ্ক্ষিত" আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এর আগে সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সোমবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, "দরবার হল থেকে ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ই অগাস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী।"
সম্পূর্ণ পড়ুন