সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এ ড্রোন শোর আয়োজন করা হয়।
এতে ১৯৭১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে। দেখানো হয় ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছা বার্তা।
বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে শহীদ মুগ্ধকে দেখেন উপস্থিত লক্ষাধিক জনতা। এ ছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রিকশায় দাঁড়িয়ে সালাম, জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদও শো-তে স্থান পায় প্রতীকীভাবে।
এর আগে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বর্ণাঢ্য কনসার্ট। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
আরও পড়ুন: সৈকতের নোনা জলে বর্ষবরণ, বাঙালি সংস্কৃতির উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা পর্যটকরা
কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশনায় অংশ নেয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। এরপর গারো ও আরএনআর ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’ সংগীত পরিবেশন করে।
পরিবেশিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্র ও পালাকার ইসলামউদ্দিন। রাকিব ও সাগর দেওয়ান পরিবেশন করেন দ্বৈত ও একক সংগীত, আরজ আলী ওস্তাদের সঙ্গে রাকিব পরিবেশন করেন আরও দুটি দ্বৈত গান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।