নিচে শীতকালে করা যায় এমন সহজ কিছু আমল তুলে ধরা হলো:
বেশি বেশি নফল রোজা রাখা
শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। এতে রোজা রাখা খুবই সহজ হয়। তাই এ ঋতুতে সম্ভব হলে বেশি বেশি রোজা রাখা যায়। হজরত আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।(তিরমিজি: ৭৯৫)
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের সময় যে দোয়া পড়বেন
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
হাড়-কাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়ে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের অনন শিক্ষা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। আর কিছুতেই অপব্যয় করো না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ২৬)
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়
তাহাজ্জুদ নামাজ সব সময় পড়া যায়। তবে শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। লম্বা সময় ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ হয়। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদাহ, আয়াত: ১৬)
আরও পড়ুন: রজব মাসের করণীয় ও বর্জনীয়
অজু ও গোসলের ব্যাপারে সচেতন হওয়া
অজু ও গোসল পবিত্রতার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। এ দুটি ঠিকমতো ও পূর্ণভাবে না হলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। এ সময় মানুষের শরীর শুষ্ক থাকে। তাই যথাযথভাবে ধৌত না করলে অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় হয় না। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অজু করার সময় পায়ের গোড়ালি যেসব স্থানে পানি পৌঁছেনি সেগুলোর জন্য জাহান্নাম। তাই তোমরা ভালোভাবে অজু করো। (মুসলিম: ৪৫৮)
]]>