শুক্রবার (৩০ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার একটি পাটখেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার সোহেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল রানা প্রায় দুই বছর ধরে গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন চালাতেন। এই সুবাদে তার সঙ্গে জিসানের মা জেসমিন আরা খাতুনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। সোহেল তার উপার্জনের টাকা জেসমিনের কাছে জমা রাখতেন। সম্প্রতি জমা রাখা প্রায় ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে জেসমিন তাকে টাকা না দিয়ে উল্টো চড় মারেন।
আরও পড়ুন: রাতে ঝগড়া, ঘুমের মধ্যে স্ত্রীর গলা কেটে পালিয়ে যান স্বামী
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহেল জিসানকে মাদরাসা থেকে জুতা কিনে দেয়ার কথা বলে বাজারে নিয়ে যান এবং পরে মাদরাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পথে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর তিনি লালমনিরহাটে নিজ বাড়িতে পালিয়ে যান। রাত গভীর হলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জিসানকে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। এ সময় এক ছাত্র জানায়, জিসানকে এক ব্যক্তি নিয়ে গেছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা সোহেলের বাড়িতে যান এবং তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সোহেলকে আটক করে এবং পরে তার দেখানো স্থানে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
জিসানের এক সহপাঠী গোলাম রাব্বানী (১০) বলে, ‘নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন এক লোক এসে জিসানকে নিয়ে যায়। সে প্রায়ই এসে জিসানকে নাশতা দিত, ভেবেছিলাম আজও তাই নিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রেজাউল করিম বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে এক শিক্ষক দেখতে পান জিসান রুমে নেই। পরে এক ছাত্র জানায়, তাকে তার এক আত্মীয় (কেমন মামা) নিয়ে গেছেন।’
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
]]>