ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারুফা উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া দিয়ার পাড়া গ্রামের মাজেদ হোসেনের মেয়ে এবং দিঘড়িয়া দিয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ রানা ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও দিঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে মাসুদ রানা স্যার ক্লাসে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন তুমি তিন-চার দিন স্কুলে কেনো আসনি। এই কথা বলে স্যার আমাকে বেত দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতে আমার হাত ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: শিশুরা স্কুলে গেলেও বাজছে না ছুটির ঘণ্টা, চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানা শিক্ষার্থী মারুফা খাতুনকে বেত দিয়ে মারার কথা অস্বীকার করে বলেন, তাকে আমি বলেছি তুমি কেন স্কুলে আসো না এটাই জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আমি যাতে ওই স্কুলে চাকরি করতে না পারি এজন্য কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব করাচ্ছে।
এ বিষয়ে দিঘড়িয়া দিয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির জানান, সকালে মাসুদ রানা বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে পিটুনির পর পুলিশে দিলো জনতা
তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আপেল মাহমুদ জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি, তদন্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>