সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবিৃতিতে বলা হয়, গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সন্তুষ্ট ছিল। পরে ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে’ পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে আটকে রাখে। তাদের মধ্যে ছিলেন বয়োবৃদ্ধ, হৃদ্রোগী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষকও। দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ব্যর্থ হন। কয়েকজন নারী শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লেও বাইরে যেতে দেয়া হয়নি।
প্রশাসনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিকেলের দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে মিলনায়তনের দক্ষিণ ও মুক্তমঞ্চের তালা ভেঙে যায়। আটকে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা বের হওয়ার সময় কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। আহতদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: কেন ক্ষমা চাইব? আমি তো কোনো অন্যায় করিনি: বাকৃবি উপাচার্য
এছাড়া প্রশাসন দাবি করেছে, ‘অবরুদ্ধ অবস্থার’ সমাপ্তির পর স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালিয়েছে, যা দাবির বাইরে গিয়ে ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী বা হামলাকারী যেই হোক, তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।
তবে এই বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকদের মদদে বহিরাগতরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। তারা জানান, বহিরাগতদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং তারা হলে অবস্থান করবেন।
]]>