চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়সাল গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত শেষে এই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কোর্ট শাখার জিআরও মো. আনিস জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুনের মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম অভিযোগপত্র।
শহিদ হত্যা মামলায় ২৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমেদ। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন, নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনি।
আসামিরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পিস্তল, শর্টগানসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হত্যা মামলার আসামিকে রিকশা থেকে গুলি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু
আন্দোলনের সময় ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসভবনে এবং পরে বহদ্দারহাট মোড়সংলগ্ন সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার অভিযোগও রয়েছে।
পরে আন্দোলনে আহত শহিদুল ইসলাম শহিদকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিহত শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৮ জন সাধারণ নাগরিক, ৯৯ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
আগামী ২৫ আগস্ট মামলার বাদী আদালতে হাজির হলে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।