মহান আল্লাহ বলেন,
যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। (সুরা: কলম, আয়াত ১০)
শপথের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ
কসম পূর্ণ করতে না পারলে অবশ্যই কসমের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কাফফারা দেয়া ওয়াজিব। না হয় তার কবিরা গুনাহ হবে। কবিরা গুনাহ মানে বড় গুনাহ। যে একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট। কসম ভঙ্গ করার পরই কাফফারা আদায় করতে হবে। কাফফারার দুই পদ্ধতি।
১০ জন অসহায় দরিদ্রকে দুই বেলা পেট ভরিয়ে খানা খাওয়ানো অথবা ১০ জন দরিদ্রকে ১০ সেট পোশাক দেয়া।
আরো পড়ুন: কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা কি বৈধ?
এ দুটির যেকোনোটি বেছে নেয়ার সুযোগ আছে। এর কোনোটিতেই সক্ষম না হলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রেখেও কাফফারা আদায় করতে পারে। কোরআনের শপথ করা নাজায়েজ হলেও কসম সংঘটিত হয়ে যায়।
সুতরাং যে বিষয়ে এ কসম করা হয়; সে বিষয় না মেনে চললে কসম ভেঙে যাবে। তখন এ কসমের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে। (সুরা: মায়িদা, আয়াত ৮৯, দুররুল মুখতার ৩/৭২৫, বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩)
শপথের কাফফারা আদায়ের নিয়ম
দশজন মিসকিনের প্রত্যেককে পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে দু’বেলা খানা খাওয়ানো অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দেয়া। কাফফারার পুরো টাকা একত্রে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দিলে তা আদায় হবে না; বরং পুরো টাকা একজনকে দিতে চাইলে প্রত্যেকের টাকা ভিন্নভাবে দশ দিনে দিতে হবে।
একদিনেই কাফফারার পুরো টাকা একজনকে দিয়ে দিলে তা একদিনের বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে বাকি নয়দিনের টাকা ভিন্নভাবে আবার আদায় করতে হবে। মোটকথা, পুরো টাকা একজনকে দিলে দশ দিনে দিতে হবে। আর দশজনকে দিলে একদিনেই দেওয়া যাবে।
]]>