গত জুন মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিয়োর মধ্যস্থতায় প্রতিবেশি দেশ রুয়ান্ডার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে রাজি হয় ডিআর কঙ্গো। তার পরেই রুয়ান্ডা ও উগান্ডার মদতপুষ্ট এম২৩ বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো এবং রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহী এম২৩ গত কয়েক মাস ধরে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণ এবং কঙ্গোর দুটি বৃহত্তম শহর দখলের পর এই সংঘাত শুরু হয়।
১৯৯৪ সালের ২৩ মার্চ তুতসি গণহত্যা প্রতিরোধ করতে দানা বেঁধেছিল আন্দোলন। সেই ইতিহাস সামনে রেখেই গড়ে ওঠে সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী এম২৩। গত তিন দশকের হিংসায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লক্ষ বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন: কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিবর্ষণ, নিহত ৩১
ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তুতসি জনজাতির ওই বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ওই অঞ্চলেই মজুদ রয়েছে দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি কোবাল্ট ও কোল্টন। এছাড়া সোনা, তামা ও লিথিয়ামের মতো মূল্যবান খনিজ সম্পদের বিরাট ভান্ডার রয়েছে এখানে।
গত বছর এম২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর একাংশের দাবি, রুয়ান্ডা ও এম২৩-এর সাহায্যে ওই বিশাল খনিজ ভান্ডার কব্জা করতে চাইছে বেইজিং।
বস্তুত এরপর থেকেই ডিআর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির প্রস্তাব মেনে রোয়ান্ডাকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্রিয় হয় ট্রাম্প সরকার। শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের সেই প্রয়াস সফল হওয়ায় মধ্য আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারে বেইজিঙের সেই উদ্যোগ ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে নিহত ১১
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন মাহমুদ আলি ইউসুফ এক বিবৃতিতে শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘পূর্ব ডিআর কঙ্গো এবং বৃহত্তর গ্রেট লেকস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে এই চুক্তি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।’
]]>