লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের হামলাকৃত ট্যাঙ্কারটি উদ্ধার করা হয়েছে

৩ সপ্তাহ আগে
ইয়েমেনের হুথি  বিদ্রোহীদের হামলায় লোহিত সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বলতে থাকা একটি তেলের ট্যাঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার একটি নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠান একথা জানায়। ট্যাংকারটি থেকে  লোহিত সাগরে  তেল ছড়িয়ে পড়ার  মারাত্মক আশংকা ছিল।  গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ইরান সমর্থিত হুথিরা  ১০ লাখ  ব্যারেল  অপরিশোধিত  তেল বহনকারী ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরক দিয়ে আঘাত হানে এবং পরে নাশকতা চালায়।  জাহাজটি টেনে নিয়ে যেতে,  আগুন নেভাতে এবং  অবশিষ্ট অপরিশোধিত  তেল খালাস করতে  উদ্ধারকারীদের কয়েক মাস সময় লেগেছে। ইউরোপীয় নৌবাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নেতৃত্বদানকারী বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আমব্রে বলে, “তিন সপ্তাহ ধরে আগুন নেভানোর কাজ চলেছে,  কার্গো ট্যাংক যুক্ত করে  অভ্যন্তরের গ্যাস দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং জাহাজটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে,  সোউনিয়ন থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে ১৯৮৯ সালে আলাস্কার উপকূলে এক্সন ভালদেজ বিপর্যয়ের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে রাখা হুথিদের  পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  প্রায় দীর্ঘদিন ধরে দেশটির নির্বাসিত সরকারকে সমর্থনকারী সৌদি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হুথিরা লড়াই করে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা প্রায় ১০০ টি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন  হামলা চালিয়েছে।  অভিযানে তারা একটি জাহাজ আটক করে এবং দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়;  এতে চারজন নাবিক নিহত হন। অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন  লোহিত সাগরে হয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ভূপতিত করেছে অথবা  লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে।  লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে পশ্চিমা সামরিক জাহাজও রয়েছে। বিদ্রোহীরা বলছে, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করতে তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্য বস্তু করে।তবে যেসব জাহাজে হামলা হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই এই সংঘর্ষের সাথে সামান্যই সম্পর্ক রয়েছে বা কোন সম্পর্কই নেই;  এগুলোর মধ্যে কিছু ইরানগামী জাহাজও ছিল।          
সম্পূর্ণ পড়ুন