লেবাননে বন্দি গাদ্দাফির ছেলেকে অর্থের বিনিময়ে জামিনে মুক্তির নির্দেশ

১ সপ্তাহে আগে
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে হানিবাল গাদ্দাফিকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে লেবাননের একটি আদালত। প্রায় এক দশক ধরে বিচার ছাড়াই দেশটিতে আটক রয়েছেন তিনি।

লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিনে গাদ্দাফির মুক্তি মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে তার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। 

 

২০১৫ সালে হানিবাল গাদ্দাফিকে সিরিয়ায় অপহরণ করা হয়। পরে তাকে লেবাননে আনা হয়। সে সময় লেবানন সরকার ওই একই বছর দেশটির শিয়া নেতা মুসা আল-সদরের নিখোঁজ মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে হান্নিবাল গাদ্দাফিকে আটকের নির্দেশ দেয়।

 

হানিবাল গাদ্দাফির আইনজীবী লরেন্ট বায়োঁ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই জামিন আদেশকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তার মক্কেল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকায় এত অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি কারাগারে নির্যাতন, মারধরের পর দৃষ্টি হারান ফিলিস্তিনি আবু ফাউল

 

লেবানন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হানিবাল ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় মুসা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে তথ্য লুকিয়েছিলেন। জানা যায়, মুসা আল-সদর লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

 

আল-সদর ছিলেন লেবাননের আমাল আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যা এখন দেশটিরর শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে জোটবদ্ধ রয়েছে। লিবিয়া সফরে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। সফরে তার সঙ্গে ছিলেন একজন সহকারী ও একজন সাংবাদিক। তবে সফরের পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

লিবিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া বিষয়ে সহযোগিতা করছে না। তবে লিবিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেকের মতে, আল-সদরের কী হয়েছে, তা জানতে হানিবাল গাদ্দাফিকে ২০১৫ সাল থেকে লেবাননে বিনা বিচারে আটক করে রাখা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরাইলের, গাজায় একই পরিবারের ১১ জনকে হত্যা

 

হানিবালের আইনজীবী বলেছেন, তার মক্কেলের বয়স এখন ৪৯ বছর। তার মানে, আল-সদরের নিখোঁজ হওয়ার সময় তিনি মাত্র প্রায় দুই বছর বয়সি ছিলেন। শুক্রবারের রায়ের পর আল-সদরের পরিবার এক বিবৃতি দেয়। তাতে হানিবালের মুক্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। তবে বলেছে, তারা এ সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন