লিটনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় পুত্রবধূ, পরে বটি দিয়ে গলা কাটে ছেলে

৪ দিন আগে
খুলনায় পুলিশের কাছে বাবা লিটন খানকে হত্যার বর্ণনা দিয়েছে ছেলে ও পুত্রবধূ। দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য থেকে পুত্রবধূ চাঁদনী চায়ের সঙ্গে ৫টি ঘুমের ওষুধ পান করায় শ্বশুরকে। এক পর্যায়ে ওষুধের প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন ও তার স্ত্রী চাঁদনী বেগম।

পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বটি দিয়ে গলা কাটা হয়। অভিযুক্ত ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন ও তার স্ত্রী চাঁদনী বেগমকে গ্রেফতারের পর রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার সুদর্শন রায় এ কথা জানান।


তিনি জানান, গত ২ অক্টোবর খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকায় নিজ বাড়িতে লিটন খানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। শনিবার ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা তারা স্বীকার করেছেন। 

আরও পড়ুন: খুলনায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূ গ্রেফতার

তিনি আরও জানান, লিটন খান অসুস্থতার কারণে ২-৩ সপ্তাহ আগে চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা লোন নেন। সেই টাকার বড় একটি অংশ নিয়ে, তাকে না জানিয়ে ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক লিমন ঢাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে চাঁদনী নামে একজনকে বিয়ে করেন। ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগে তারা খুলনায় আসে। এই সময় টাকা ও বিয়ে নিয়ে বাবা ছেলের বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে তারা বাবাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য পরে বটি দিয়ে গলা কাটা হয়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।


এদিকে লিটন খান হত্যার ঘটনায় তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা মহানগর হাকিম রাকিবুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন