প্রথমবার পাওয়া সুযোগকে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন রিশাদ। ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তরুণ এই স্পিনার। তাই প্রথম ম্যাচ পরেই রিশাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুরো লাহোর কালান্দার্স দল। এই তালিকায় আছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অন্যতম মালিক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সামিন রানাও।
ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে সামিন বলেন, ‘আমার বাংলাদেশি ভাইকে নিয়ে আমি কী বলতে পারি...রিশাদ, আমার মনে হয় তুমি গেম চেঞ্জার (ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছ)। তুমি যেভাবে বল করেছ, তা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বুঝিয়ে দিয়েছ যে এই দলের বোলিং আক্রমণই এবারের টুর্নামেন্টে সেরা।’
শুধু সামিনই নয়, ম্যাচ শেষে রিশাদের প্রশংসা করেছেন লাহোরের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি, অভিজ্ঞ ব্যাটার স্যাম বিলিংস এবং অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসা। রিশাদকে নিয়ে শাহিন আফ্রিদি বলেন, ‘আজ (কাল) আমরা পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পেরেছি এবং সবাই ভালো করেছে। আমরা এমন এক বোলারকে নিতে চেয়েছিলাম, যে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট এনে দেয়। তাই আমরা রিশাদকে নিয়েছি।’
রিশাদের বিষয়ে বিলিংস বলেন, ‘আমাদের দলে কয়েকজন দক্ষ বোলার আছে। আমার মনে হয় রিশাদ এসেই যেভাবে খেলেছে, তা দারুণ। সে অসাধারণ বল করেছে, বল স্পিন করাতে চেয়েছে। এই সংস্করণে কবজির স্পিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর নেওয়া রাইলি রুশোর উইকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমি ওর পারফরম্যান্সে খুব খুশি।’
ডেভিড ভিসা বলেন, 'রিশাদ দারুণ বল করেছে, তার মতো একজনকেই আমাদের প্রয়োজন ছিল। শাহীনের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে কারণ রিশাদ দলে ভারসাম্য এনেছে। রিশাদকে পেয়ে আমাদের জন্য ভালো হয়েছে, সে দলের একজন সম্পদ।'
আরও পড়ুন: রশিদের অভাব পূরণে রিশাদকে প্রয়োজন ছিল: ডেভিড ভিসা
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে গতকাল ফখর জামান এবং স্যাম বিলিংসের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২১৯ রান করেছিল লাহোর। লক্ষ্য তাড়ায় ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কোয়েটা। ওপেনার সৌদ শাকিল ও হাসান নাওয়াজ ১ রান করে তোলেন। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুই ওপেনারের উইকেটই নেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৪ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান কুশাল মেন্ডিসও।
৪ উইকেট হারানো কোয়েটা এরপর রাইলি রুশো ও শোয়েব মালিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। রুশো তখন ভয়ঙ্কর রূপে, ১১ বলে ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন। ওই সময় ম্যাচের সপ্তম ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদকে বোলিংয়ে আনেন আফ্রিদি। প্রথম ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া রিশাদ প্রথম ওভারে ৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। পরের ওভারের চতুর্থ বলে রুশোর কাছে ছক্কা হজম করেন। এর পরের বলেই স্টাম্প ভেঙে দেন প্রোটিয়া ব্যাটারের। ১৯ বলে ৪৪ রান করে মাঠ ছাড়েন রুশো।
রিশাদ নিজের চতুর্থ ওভারে নেন আরও দুই উইকেট, প্রথম বলে মোহাম্মদ আমিরকে ফেরানোর পর আবরার আহমেদের উইকেটও পান। ৪ ওভারে ৩ উইকেট নিতে দেন ৩১ রান। ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় কোয়েটার ইনিংস।
]]>