ইরি ধানের চালের ঝরঝরে ভাতের পাতে এক টুকরো ইলিশ ভাজা, একই তেলে ভাজা একটা শুকনো মরিচ— ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। লন্ডনে প্রায়ই ইলিশ খাই। কদিন আগেই আমার বাসার পাশের ফিশ বাজার থেকে বড় সাইজের একটি বাংলাদেশি ইলিশ কিনলাম। দাম পড়ল ২২ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ২০০। দোকান থেকেই মাছটা সুন্দর করে কেটে দিলো— কোনো ঝামেলা নাই।
আমার বোন লাউয়ের পাতায় ইলিশ পাতুরি রান্না করলো। পুরোপুরি দেশের মতো না হলেও ইলিশের নিজস্ব যে ঘ্রাণ আর স্বাদ, তা ঠিকই পেয়েছি। লন্ডনের মাটিতে বসে ইলিশ পাতুরি, তাও লাউয়ের পাতায়— খেতে খেতে নস্টালজিয়া পেয়ে বসেছিল।

ছুটিতে দেশে গেলে এখন আয়োজন করে ইলিশ খাওয়া হয়। অফসিজনে গেলে আবার হাটে-বাজারে ইলিশের দেখা পাই না। লন্ডনে কিন্তু এই সমস্যা নাই। সারা বছরই ইলিশ কেনা যায়। লন্ডনের বিভিন্ন ফিশ বাজারে মূলত তিন দেশের ইলিশ বিক্রি হয়— বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের ইলিশ। অনেক প্রতিষ্ঠান ইলিশ আমদানি করে। মাছ বাজারে মাঝেমধ্যেই অফার প্রাইসে ইলিশ বিক্রি হয়। ফলে বাঙালিদের ভিড় লেগেই থাকে।
আর ভিড় লাগাটাই তো স্বাভাবিক। ইলিশ যে বাঙালির কাছে শুধু একটি মাছ নয়— এটি এক টুকরো আবেগ, স্মৃতি আর শেকড়ের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধনের নাম।
#প্রবাসীর চিঠি
]]>