লক্ষ্মীপুরে বেশ কিছু এলাকায় প্লাবন, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

২ দিন আগে
অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী উপজেলা রামগতি ও কমলনগরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। বহু বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েন বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর থেকে লোকালয়ে পানি উঠতে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে জোয়ারের পানি নেমে যায়। তবে দুর্ভোগে পড়েন উপকূলের বাসিন্দারা।

 

স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী বাঁধ না থাকায় খুব সহজে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। তীররক্ষা কাজ চলমান থাকলেও বাঁধ এখনো নির্মাণ হয়নি।

 

কমলনগর উপজেলার নাছিরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কাদের মাঝি ও জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আমাদের বাড়ি খুবই কাছে। জোয়ারের পানি দ্রুত ঢুকে যায়। বাঁধের কাজ এখনো হয়নি। কাজ দ্রুত শেষ না হলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে আমরা জোয়ারের পানির কবলে পড়বো।’

 

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে অর্ধশত ঘরবাড়ি, ৫ ট্রলার বিধ্বস্ত

 

নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জেলে শারিয়ার বলেন, 

নদীর তীরে আমার বাড়ি। আগে নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে কাছে চলে আসছে। গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরেই জোয়ারের পানি আমাদেরকে ভোগাচ্ছে।

 

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত উজ জামান বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতব্বর হাট, পাটারির হাট, ফলকন, চরমার্টিন, চর লরেন্স, তোরাবগঞ্জ, কালকিনি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ ঘুরে দেখেছি। বেশ কিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সবাইকে সাবধান ও সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

 

আরও পড়ুন: সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় তীব্র ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা

 

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান রাতে বলেন, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি ছিল। নদী উত্তাল ছিল, এখন ভাটা পড়ে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন