ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েই ২০২৭ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল গোছাতে চায় ভারত। দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়া রোহিত-কোহলিরা ততদিনে ৪০–এর কোটায় পা দেবেন। এক ফরম্যাটে খেলে তারা ম্যাচ ফিটনেস কতটুকু ধরে রাখতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে বিসিসিআইয়ের। ফলে এই ফরম্যাট থেকেও অবসরের চাপ বাড়ছে রোহিত-কোহলির।
ভারতের স্পিনার রবি বিষ্ণোয়ীর প্রত্যাশা, এই জুটি যেন ওয়ানডে থেকেও যথাযথ বিদায় পান। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে তাদের অবসর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বিষ্ণোয়ী এর উত্তরে বলেন, 'আসলে এটা বেশ অবাক করার মতো ছিল, কারণ আপনি সবসময় চান তারা যেন মাঠ থেকেই অবসর নেন। এমন বড় কিংবদন্তিদের ক্ষেত্রে মাঠেই খেলা অবস্থায় বিদায়টা অনেক সুন্দর দেখায়। আর তারা ভারতের জন্য যা করেছেন—আমার কাছে মনে হয়, তাদের কাছাকাছি কেউ নেই।'
আরও পড়ুন: এসএ২০’র নিলামে সাকিব-মোস্তাফিজসহ ১৪ বাংলাদেশি
'আপনি চান তারা একটা ভালো বিদায় পাক, হয়তো ওয়ানডেতেও সেটা হবে, যখনই তারা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ কখন অবসর নেওয়া উচিত তা কাউকে বলা যায় না—এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে যখন তারা অবসর নিলেন, সেটা অবাক করার মতো ছিল। হঠাৎ মনে হলো দুটো জায়গা ফাঁকা হয়ে গেছে। এবার কে এসে সেটা পূরণ করবে?'–এই স্পিনার যোগ করেন।

সম্প্রতি ভারতের সাবেক ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারাকে কোহলি-রোহিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাদের কোনো উপদেশের প্রয়োজন নেই, কারণ তারা দলের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য। পূজারা বলেছিলেন, 'আমার কোনো উপদেশ দেওয়ার দরকার নেই, কারণ তারা সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। তারা এখন শুধু একটি ফরম্যাট খেললেও যথেষ্ট অভিজ্ঞ, তারা জানে তাদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা হয়।'
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের লিগের বোলার এক ওভারেই খরচ করলেন ৪৩ রান!
তিনি আরও বলেন, 'বিরাট ও রোহিত এতটাই প্রতিভাবান খেলোয়াড়, রেকর্ডগুলোই তার প্রমাণ। তারা নিজেরাই জানেন কখন বিদায় নেওয়ার সঠিক সময়। তারা বোঝেন এই পর্যায়ে কতটা প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন, আর যদি ফিট থাকেন, তাহলে আরও অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন।'
বিষ্ণোয়ী ভারতের উদীয়মান প্রতিভা বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়েও মতামত দিয়েছেন। তিনি সূর্যবংশীর ব্যাপারে ব্যাপারে বলেন, 'এখন সবার বিপক্ষেই খেলা কঠিন, কিন্তু ওর প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই মুহূর্তে ও দারুণ খেলছে। আপনারা দেখেছেন ইংল্যান্ডে বয়সভিত্তিক রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছে, আর আইপিএলেও ৩৪–৩৫ বলে শতরান করেছে। এটা সহজ ব্যাপার নয়। অনেক বড় খেলোয়াড়ও পারেননি। আর একটা ১৪ বছরের ছেলে এসে সেটা করল—এটা ওর কঠোর পরিশ্রম আর নিবেদনের ফল।'