জানা গেছে, শিমরাইলকান্দি এলাকার বাসিন্দা ইট, বালু, কংক্রিট, পাথর ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া জেলা শহরের সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার সংযোগকারী সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি ছয়টি দোকান নির্মাণ করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা চলছিল। রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী সেখানে অভিযান চালান। এসময় পাকা স্থাপনার রিংটারসহ দেয়ালের কিছু অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে ভাতিজা দানু ভূঁইয়া জায়গাটি রেলবিভাগ থেকে ইজারা নেয়া হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবহিত করেন। তবে জায়গাটি বিএস জরিপে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দখলকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপনা সরাতে দানু ভূঁইয়াকে একদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার কাছ থেকে পাওয়া লিজের কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, শিমরাইলকান্দির ৬৯ নং জেএল ও ২ নম্বর খাস খতিয়ানের ৯১ বিএস দাগের ২৬ শতক জায়গার মধ্যে ৩০০ বর্গফুট ভূমি একই এলাকার নুরু মিয়াকে বাণিজ্যিক ইজারা দেয় রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। যার চৌহদ্দির উত্তরে লাইসেন্সকৃত কৃষি ভূমি, দক্ষিণ ও পূর্বে রাস্তা ও পশ্চিমে মাদরাসা। কিন্তু স্থাপনা নির্মাণাধীন জায়গার পূর্বে ও উত্তরে সরকারি খাল এবং পশ্চিমে রাস্তা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুটপাতে ব্যবসা নয়, কঠোর অভিযানে যাচ্ছে ডিএনসিসি: প্রশাসক
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া সাংবাদিকদেরকে জানান, ইজারা পাওয়া নূরু মিয়ার কাছ থেকে জায়গাটি চুক্তিমূলে নিয়েছি। রেলবিভাগ এ জায়গা নূরু মিয়াকে ইজারা দিয়েছে। এখন প্রশাসন বলছে, আমাদের দাগ নম্বর ভুল। বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী সাংবাদিকদেরকে জানান, বিএস ৫৭ দাগে এটি সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত খালের জায়গা। তারা যে জায়গা রেল থেকে ইজারা নিয়েছেন এটি সে জায়গা নয়। তারা দাগ নম্বর ভুল করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্বীকার করে সময়ের আবেদন করেছেন। তাই স্থাপনা সরাতে একদিনের সময় দেওয়া হয়েছে।