রেলযাত্রায় স্বস্তি মিললেও সড়কপথে যানজটে নাকাল ঘরমুখী মানুষ

৪ সপ্তাহ আগে
ঈদযাত্রায় পথেঘাটে ঢল নেমেছে ঘরমুখী মানুষের। মহাসড়কগুলোতে গাড়ি চলাচলে ধীরগতির পাশাপাশি দেখা দিয়েছে যানজট। কিছুটা ভোগান্তি হলেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দে উচ্ছ্বসিত ঘরমুখী মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরেজমিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সাজানো লঞ্চ, যাত্রীদের ভিড়, পরিপূর্ণ হলেই ছুটে চলছে নিজ গন্তব্যে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কোনো উৎসব এলেই ফিরে পায় তার পুরানো জৌলুস।


নির্বিঘ্ন এই লঞ্চযাত্রায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে কিছুটা আক্ষেপও ঝাড়ছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা বন্ধ হলেই ঈদযাত্রা পুরোপুরি আনন্দের হবে।
 

এদিকে ছুটি শুরুর দিন রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কগুলোতে দেখা যায় ভোগান্তির চিত্র। অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে যাত্রীদের দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকেই পাননি কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
 

আরও পড়ুন: গাড়ির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা


দক্ষিণের প্রবেশদ্বার মাওয়া টোল প্লাজায় দেখা যায় যানবাহনের লম্বা লাইন। এ ছাড়া যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। গাড়ির চাপে চলাচলে ধীরগতি দেখা যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটেও। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়কে ছিল যানবাহনের সংকট।


ঈদ যাত্রায় সড়কপথের তুলনায় খানিকটা স্বস্তি রেলযাত্রায়। বেশিরভাগ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ের ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে স্টেশন। তবে যাত্রীদের রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।


এদিন দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খান।


অনলাইনে টিকিট না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে যাত্রীদের। অনেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটে উঠছেন ছাদে। তবু বাড়ি ফেরার স্বস্তি রয়েছে ঘরমুখো মানুষের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন