রেমালের দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে উপকূলবাসীকে

৩ সপ্তাহ আগে
বছর পেরোলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে উপকূলবাসীকে। কেমন ছিল ভয়াবহ সেই সব দিন, এখনই বা কেমন আছেন প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা মানুষেরা।

২০২৪ সালের ২৫ মে আর দশটা দিনের মতো ছিল না। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ জনপদ। প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় খুলনা, পিরোজপুরসহ উপকূলবর্তী মানুষের সর্বস্ব।

 

সেদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। ঝড়ের হাত থেকে সন্তান না কি সংসার- কাকে বাঁচাবেন, এমন পরিস্থিতিতে বুকের ধনকেই বাঁচান তারা। হারান বাকি সব।

 

উপকূলের এই মানুষদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে ভাঙাগড়ার এ খেলা, এখানকার মানুষ বছর পেরোলেও এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ঝড়ের সেই দুঃসহ স্মৃতি।

 

আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে মেঘনা উপকূলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

 

প্রকৃতির কাছে হার মানলেও জীবনের কাছে হার মানেনি উপকূলের মানুষ। খড়কুটো কুড়িয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। শঙ্কা মাথায় নিয়ে আবারও সাজিয়ে তুলছেন জীবন। খুলনা ও পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালে আক্রান্তদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী কিছু সংগঠন দাঁড়ালেও তা কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়।

 

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘরবাড়ি নির্মাণে সহযোগিতা করি। সেইসঙ্গে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করি।

 

আরও পড়ুন: উপকূলবাসীর সুপেয় পানি সংকটের টেকসই সমাধান কবে?

 

এখনো জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে উপকূলবর্তী এই অঞ্চল। সমস্যার সমাধানে টেকসই বাঁধ চান স্থানীয়রা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন