রূপকথার গল্পের ইতি টেনে লেস্টার সিটি ছাড়ছেন ভার্ডি

২ সপ্তাহ আগে
ইংলিশ ফুটবলের চতুর্থ স্তর থেকে তাকে খুঁজে এনেছিল লেস্টার সিটি। ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের কাছে প্রত্যাশাটাও খুব বেশি ছিল না দলের। তবে জেমি ভার্ডি যা করে দেখিয়েছেন, তা রীতিমতো রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।

২৫ বছর বয়সে লেস্টারের জার্সি গায়ে জড়ানোর পর টানা ১৩ বছর দলটির হয়ে খেলেছেন ভার্ডি। নিজেকে প্রমাণ করে এরপর জায়গা করে নেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডের তকমা নিজের করে নেন।

 

২০১৯-২০ মৌসুমে ৩৩ বছর বয়সী ভার্ডি সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। গত মৌসুমে দলকে প্রিমিয়ার লিগে উঠানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ভার্ডি। সেবার ১৮টি গোল করেছিলেন তিনি। চলতি মৌসুমে লেস্টারের এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও ৭টি গোল করেছেন ভার্ডি। 

 

তবে এবার লেস্টারের সঙ্গে যাত্রার ইতি টানতে যাচ্ছেন ভার্ডি। চলতি মৌসুমের পর আর নীল জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে। তবে ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন না ইংলিশ ফরোয়ার্ড। খেলা চালিয়ে যেতে চান এখনও।

 

চলতি মৌসুমটা একদমই ভালো যাচ্ছে না লেস্টারের। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হয়ে গেছে দলটির। শুধু তাই নয়, টানা ৯ ম্যাচ ঘরের মাঠে গোলের দেখা না পেয়ে লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে দলটি। এর জন্য সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ভার্ডি।

 

আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মৌসুম শেষ কামাভিঙ্গার, ফাইনালের আগে মহাবিপদে রিয়াল

 

নিজের বিদায় উপলক্ষে ভার্ডি বলেন, 'আমি এখানে এত বছর ধরে আছি যে এই যাত্রা কখনো শেষ হবে, সেটাই কল্পনা করিনি। বিদায়বার্তা লেখা আমার জন্য কঠিন ছিল, তবে এরচেয়েও কঠিন ছিল এই সিদ্ধান্ত নেয়া। গত ১৩ বছরে লেস্টার সিটি আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো। এই ক্লাব, এই শহর এবং এখানকার মানুষজনের গুরুত্ব আমার কাছে অনেক বেশি।'

 

তিনি আরও বলেন, 'আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আমি খেলতে এবং গোল করতে পছন্দ করি। আশা করি, মৌসুম শেষে লেস্টারের জন্য আরও ১-২টি ম্যাচ খেলতে পারব। আমার বয়স ৩৮ হয়ে গেলেও এখনও অনেক কিছু জয়ের আকাঙ্ক্ষা আছে।' 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন