রাহানের টি-টোয়েন্টি জীবন বদলে গেছে ‘জাদুর কাঠি চেন্নাই’য়ের স্পর্শে

৪ সপ্তাহ আগে
৫৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছয়ে ৯৮ রান। স্ট্রাইকরেট ১৭৫—বারোদার বিপক্ষে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সেমিফাইনালে এটা আজিঙ্কা রাহানের ইনিংস। ৬ উইকেটে জিতে সেমিফাইনালের বাধা টপকেছে রাহানের মুম্বাই। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ফাইনালে তার দল লড়বে মধ্য প্রদেশের বিপক্ষে।

শুধু সেমিফাইনালেই নয়, আজিঙ্কা রাহানে এই প্রতিযোগিতাতেই উড়ছেন। এখন পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ৮ ম্যাচে ৫ ফিফটিতে করেছেন ৪৩২ রান। ১৯টি ছক্কার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৪২টি চারও মেরেছেন তিনি। গড় ৬১.৭১, স্ট্রাইক রেট ১৬৯.৪১। অথচ একটা সময় ৮৫টি টেস্ট খেলা ব্যাটার স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক করতেন একশ বিশেরও কমে, গড় ছিল ২৮.৭৭।


রাহানের বদলে যাওয়া শুরু চেন্নাই সুপার কিংসে। ২০২৩ সালে চেন্নাইতে যোগ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অন্য জীবন পান তিনি। চেন্নাইতে যোগ দেয়ার পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইক রেট বেড়েছে, বেড়েছে গড়ও। ৪৩ ইনিংসে এক হাজার ১৭৫ রান করার এই সময়ে ১৫০.২৫ স্ট্রাইকে ব্যাট করছেন তিনি, গড় ৩৪.৫৫। আর চেন্নাইয়ে যোগ দেয়ার আগে? ২২৭ ইনিংসে ১১৯.৫১ স্ট্রাইক রেটে ৫ হাজার ৬৪০ রান। চেন্নাই তো রাহানের জন্য জাদুর কাঠিই! নাকি?


আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে পৃথ্বীর দূরে সরে যেতে থাকার কারণ জানালেন শৈশবের কোচ


মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন রাহানে। ৯৮ রানের ইনিংস খেলার পর তিনি বলেন, ‘তাদের (চেন্নাই) কাছ থেকে বার্তা পরিষ্কার ছিল। যাও আর নিজের মতো খেলো। অন্য টিমে আমার কাজ ছিল ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত খেলা। এ জন্য আমি ১২০-১৩০ স্ট্রাইকে খেলেছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে গত দুই বছরে আমার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।’


রাহানের এই পরিবর্তনে উপকারভোগী স্বয়ং রাহানেই। তার আরও একটা উপকার হতে পারে। আসন্ন আইপিএলের জন্য চেন্নাই ছেড়ে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো কলকাতা নাইট রাইডার্সে নাম লিখিয়েছেন। শ্রেয়াস আইয়ারকে ছেড়ে দেয়ায় কলকাতার একজন অধিনায়ক প্রয়োজন। রাহানে নামটা সে ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক ছিল ফর্ম তার সঙ্গে না থাকায়, কারণ ব্যাটে রান দিতে না পারলে কলকাতা অধিনায়ক কোটায় তো তাকে খেলাবে না। এখন ফর্ম সঙ্গে, তুখোর ফর্মেই আছেন রাহানে। কলকাতা চাইলে রাহানে হয়তো রাজিই হয়ে যাবেন নেতৃত্বের ভার নেয়ার জন্য।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন