সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। নির্দেশনায় পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব অর্পণ করে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশ বন্ধ করে গাজীপুরে আসেন কমিশনার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর থেকেই কমিশনার নাজমুল করিম খানকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি একটি স্কুল মাঠ দখল করে মাসব্যাপী মেলার অনুমতিও দিয়েছেন তিনি। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যাঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি অ্যাসেম্বলি করতে হচ্ছে বারান্দায়। মেলা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন চিঠি দিলে উত্তরে জিএমপি জানায়, মেট্রোপলিটন এলাকায় যেকোনো মেলার সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার একমাত্র পুলিশ কমিশনারের। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাথর লুট: সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসিকে বদলি
এদিকে, জিএমপি কমিশনার মো. নাজমুল করিম খানের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সাদা রঙের গাড়ি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের আবেদন করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। গত ২৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও ইয়াছিন আলফাজ এ আবেদন করেন।
তারা আবেদনে উল্লেখ করেন, নাজমুল করিম খানের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িটি দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধের আওতাভুক্ত। তাই আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
]]>