শনিবার (১৯ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নিতে হবে। রাশিয়াকে সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়, অপহৃত শিশুদের ফেরত, হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্য শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি।
জেলেনস্কি আরও জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব পর্যায়ের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের পাভলোহ্রাদে শহরে টানা ছয় ঘণ্টা ধরে বৃষ্টির মতো ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়া। শনিবার সকালে শহরের আকাশজুড়ে ছিল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
শনিবার ভোররাতে শহরটিতে রাশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি অস্ত্র কারখানা, ফায়ার স্টেশন এবং একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন। নিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলের গভর্নর রুশ এ হামলাকে শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রাত বলে আখ্যা দেন।
ওডেসায় একই সময়ে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আগুন ধরে যায় একটি নয়তলা ভবনে। নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে ড্রোন ও এআই প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরি করবে যুক্তরাজ্য-জার্মানি
ওডেসার মেয়র জানিয়েছেন, অন্তত ২০টি ড্রোন আঘাত হানে শহরটিতে। হামলায় ইউক্রেনজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোনেৎস্ক, সুমি, জাপোরিঝিয়া ও মাইকোলাইভসহ ১১টি অঞ্চল। এই হামলার সময়ই কিয়েভ সফর শেষে ওয়াশিংটনে ফিরে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত জেনারেল কিথ কেলগ। তার সফরের সময় রাশিয়া বড় আকারের হামলা স্থগিত রেখেছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।