রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্তে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

১ দিন আগে
ইউক্রেনের যুদ্ধ মঙ্গলবার সহস্রতম দিনে প্রবেশ করেছে। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সংশোধিত পরমাণু নীতিমালায় সাক্ষর করেছেন। এই নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যদি এমন কোনো রাষ্ট্র প্রথাগত হামলা চালায়, যাদেরকে পরমাণু শক্তিসম্পন্ন অপর কোনো রাষ্ট্র সমর্থন করছে, তাহলে এই হামলাকে ওই দুই রাষ্ট্রের সম্মিলিত হামলা হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলার জবাব দেওয়া যাবে।   এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া দূর পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর অনুমোদন দেওয়ার পরই এলো এই ঘোষণা।  যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় এই সংশোধিত নীতি জারি করা হয়েছে কী না, এ প্রশ্নের জবাবে রুশ সরকারের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেন, এটি “সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত” এবং “বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে” পুতিন এই নীতিমালা হালনাগাদ করতে চেয়েছেন। এপি-র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।  এই নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যালিসটিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও অন্যান্য উড়ন্ত যানের মাধ্যমে বড় আকারে আকাশপথে হামলা এলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে জবাব দেওয়া যাবে।   এতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে “পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ বা সমর্থন” নিয়ে কোনো পরমাণু শক্তিবিহীন রাষ্ট্র হামলা চালালে এটাকে “রুশ প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত হামলা” হিসাবে বিবেচনা করা হবে।  তবে এ ধরনের হামলার জবাবে নিশ্চিতভাবে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে কী না, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।  পেসকভ বলছেন, নীতিমালা হালনাগাদ করার উদ্দেশ্য রাশিয়া বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলার অবশ্যম্ভাবী প্রতিশোধমূলক পরিণতি সম্পর্কে সম্ভাব্য শত্রুদের উপযুক্ত ধারণা দেওয়া।   নীতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মিত্র বেলারুসের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দেশ হামলা চালালে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।  এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে। 
সম্পূর্ণ পড়ুন