রাশিয়ার শত শত ড্রোন ও ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ শহরে। এসময় আশপাশের ৪৬টি আবাসিক ভবন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন, আদালত ও প্রায় ২০টি ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আগুন নেভাতে রাতভর কাজ করে ফায়ার সার্ভিস।
ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লুৎস্ক ও রোমানিয়া সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত চেরনিভতসিতেও হামলা চালিয়েছে মস্কো। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরেও রুশ হামলার শিকার হয়েছে পরিত্যক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও একাধিক গুদামঘর। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শহরে অন্তত ১০টি বিস্ফোরণ হয়েছে। জুলাই মাসে এটি রাশিয়ার চতুর্থ বৃহৎ হামলা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা জোট গঠন /যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে সতর্ক করল রাশিয়া
এদিকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ জানিয়েছেন, কুরস্ক অঞ্চলের যুদ্ধজয়ে সহায়তা করেছে উত্তর কোরীয় সেনারা। নিজেদের রক্ত ও প্রাণ দিয়ে তারা রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মন্তব্য করেন ল্যাভরভ।
কিমকে ধন্যবাদ দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সেইসব শহীদের সম্মানেই সেখানে নির্মাণ হচ্ছে এক বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ। কিমের নির্দেশে শিগগিরই আরও ৬ হাজার সেনা রাশিয়ায় যাচ্ছে, যাদের মধ্যে রয়েছে এক হাজার মাইন নিষ্ক্রিয়কারী ও পাঁচ হাজার সামরিক প্রকৌশলী।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার মূল আলোচনা সঙ্গী পুতিন, জেলেনস্কি নন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প মনে করেন জেলেনস্কিই মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধ বন্ধের পথে প্রধান বাধা।
]]>