রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে যা বলল ভারত

১ সপ্তাহে আগে
ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখানেই শেষ নয়, তিনি রাশিয়া ও ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার অভিযোগ, তেল কিনে আসলে রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থ জোগাতে সাহায্য করছে ভারত।

রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শুক্রবার (১ আগস্ট) এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সেসব দেশের নিজ নিজ যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়। একে তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। ভারত ও রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমাদের মধ্যে একটি স্থিতিশীল ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অংশীদারিত্ব রয়েছে।’

 

রাশিয়া থেকে জ্বালানি এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানির কারণে চলতি সপ্তাহে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের পাশাপাশি অতিরিক্ত জরিমানাও চাপানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়েও বেশ কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

দুই দেশের অর্থনীতিকে তিনি ‘মৃত অর্থনীতি’ বলেও অভিহিত করেছেন। গত বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তা আমি পরোয়া করি না। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করুক- আমি কিছুই মনে করব না।’

 

আরও পড়ুন: শুল্কারোপ-জরিমানা / ট্রাম্পের বড় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত

 

তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কমই বাণিজ্য করি। তাদের শুল্ক হার বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। একইভাবে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় কোনো বাণিজ্যই নেই। তা যেন সেভাবেই থাকে।’

 

এই বার্তার মাধ্যমে তিনি কার্যত ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রুবিও বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে ‘বিরক্তিকর বিষয়’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

 

ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জয়সওয়াল বলেন, “ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা অভিন্ন স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই অংশীদারিত্ব বহু পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। আমাদের দুই দেশ যে বাস্তবভিত্তিক এজেন্ডার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমরা তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এবং এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”

 

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন