এর আগে শনিবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়ার পক্ষ হয়ে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা কুরস্কে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। কুরস্ক একটি রাশিয়ার অঞ্চল যেখানে ইউক্রেন গত আগস্টে আক্রমণ শুরু করেছিল।
সোমবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে প্রথমবারের মতো যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাদের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় চিডোর তাণ্ডবে ফ্রান্সে মৃত্যু হাজার ছাড়াতে পারে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলের প্লেখোভো, ভোরোজবা এবং মার্টিনোভকা গ্রামের আশেপাশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ক্রেমলিন ইউক্রেনের দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। প্রশ্নটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে রেফার করা হয়েছে; যারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন:ঝড়ে রাশিয়ার ট্যাংকার ভেঙে কৃষ্ণসাগরে ছড়াচ্ছে তেল
এর আগে রাশিয়া তার পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের যুদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। পিয়ংইয়ং প্রাথমিকভাবে সেনা মোতায়েনের খবরকে ‘ভুয়া খবর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই ধরনের সেনা মোতায়েন আইনসম্মত।
কিয়েভ প্রথমে জানিয়েছিল, উত্তর কোরীয় বাহিনীকে অক্টোবরে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নিয়োজিত করা হয়। এছাড়া রাশিয়ার হয়ে লড়তে মোট ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের খবর জানায় ইউক্রেন।
কুরস্ক অঞ্চলে কিয়েভের অনুপ্রবেশ শুরু হয় ৫-৬ আগস্ট রাতে, যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সুডজা শহরের কাছে প্রবেশ করে।