রাত পেরিয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালেও সড়কের মাঝে ত্রিপল বিছিয়ে অবস্থান করছেন তারা। আর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন তারা।
এদিকে সড়কের চারদিকে বেরিকেড দিয়ে রেখেছেন জুলাই যোদ্ধারা। এতে যান চলচল বন্ধ রয়েছে। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। যদিও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এ দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
জুলাই সনদ শুধু দাবি নয়, এটি তাদের অধিকার বলেও জানান জুলাই যোদ্ধারা। তারা বলেন, জুলাই সনদ সংবিধানে লিপিবদ্ধ করতে হবে। নাহলে আমরা জীবন দেব, কিন্তু রাজপথ ছাড়ব না। আমরা শুধু গাছের ফুল দেখতে চাই না, ফল হাতে নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই।
আরও পড়ুন: সনদের আইনিভিত্তি: দিনশেষে যে বার্তা দিলো বিএনপি ও জামায়াত
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবরোধকারীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। এ সময় ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, জুলাই সনদ দিয়ে দে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘চব্বিশের চেতনা বৃথা যেতে দেব না’, ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’—এমন অনেক স্লোগান দিতে শোনা যায়।
গত সোমবার (২৮ জুলাই) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কাছে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন থেকে আসা যেসব প্রস্তাব বা সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য হবে, দুই বছরের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার নেয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে। তবে এতে আপত্তি জানিয়ে জামায়াত ও এনসিপি। যদিও আজ দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শেষ করে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন।
]]>