রাজাকারের বাচ্চারা যদি বলে মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, আমি কি ছাইড়া দিমু?

৩ সপ্তাহ আগে
আমার নাম শুনলে রাজাকাররা ভয়ে পালিয়ে যেত। সেই রাজাকারের বাচ্চারা এখন যদি বলে মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, আমি কি ছাইড়া দিমু? ছাইড়া দিলে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বেইমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনা কলেজ মাঠে আয়োজিত কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন ফজলুর রহমান।


মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। কারণ আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানও একজন খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা; সেক্টর কমান্ডার।’


ফজলুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই বললে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত ও স্বপ্নের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। কাজেই আমাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতেই হবে।’


আরও পড়ুন: ইলেকশন লাগবই, ইলেকশন দিয়া যাইতে হইব: ফজলুর রহমান


জামায়াত-শিবিরের তীব্র সমালোচনা করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা দাবি করেন এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ বলতে কিছু হয়নি। ইন্ডিয়া গন্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে। অথচ আমার দেশের ৩০ লাখ লোক মারা গেছে। আমাদের এখানে একদিনে ৫০০ লোককে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। এরপরেও তারা বলে মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই।’


তারেক জিয়ার সম্পর্কে বাজে কথা ও স্লোগান দেয়া সম্পর্কে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগও তারেক জিয়া সম্পর্কে এমন বাজে কথা বা বিশ্রী স্লোগান দেয়ার সাহস পায়নি, যা জামায়াত–শিবির রাজাকাররা দিয়েছে। এ কারণে জামায়াত–শিবির থেকে সাবধান। রাজাকার আলবদর থেকে সাবধান। আমরা এসব বাজে কথার কঠিন জবাব দেব।’


আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বক্তব্য অবমাননাকর ও মূর্খতাপ্রসূত: হেফাজতে ইসলাম


তিনি বলেন, ‘ওরা নির্বাচন চায় না, সচিবালয়, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, থানা সব দখলে নিয়েছে ওরা। ওরা নাকি তাদের লোক। দেশকে বিপদে ফেলতেই তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে আমরা তা হতে দেব না।’


উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন: কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, সদস্য সচিব ওবায়দুল্লাহ ওবায়েদ, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন