বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
পোস্টে প্রেস সিচব লেখেন, বৃহস্পতিবার লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি লেখেন, বৈঠকে রাজা চার্লস অধ্যাপক ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ—প্রচারণাকে সভ্যতা রক্ষার জন্য সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম লেখেন, রাজা চার্লস দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক ইউনূসের কাজের একজন প্রশংসক হিসেবে পরিচিত। তিনি ইউনূসের একটি বইয়ের ভূমিকাও লিখেছেন, যা তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও চিন্তার মিলের একটি প্রমাণ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য সফর: বৃহস্পতিবার যেসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস ও টেকসই উন্নয়নের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুজনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় হয়। এই সাক্ষাৎকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বাকিংহাম প্যালেস সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও ফলপ্রসূ ছিল।
উল্লেখ্য, রাজপরিবারের রীতিতে, রাজা যখন কাউকে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ দেন বা ‘অডিয়েন্স’ প্রদান করেন, তখন সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়ার একটি সম্মানজনক ইঙ্গিত। এ ধরনের সাক্ষাতে রাজা ওই ব্যক্তির কাজ সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ পান এবং একটি স্মরণীয় রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপহার দেন।
এর আগেও প্রিন্স অব ওয়েলস থাকাকালীন ইউনূসের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ছিল তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ।
]]>