অর্থাৎ ৪০ কেজি আম কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ৬০ টাকা নিতে পারবেন আড়তদাররা। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। সকাল থেকে দুপুর দুইটা এবং মাঝে বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সভা হয়।
সভায় উপস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সুজনের সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল জানান, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানী, ব্যবসায়ী, আড়তদার, হাট ইজারাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
সবপক্ষের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, জাত, গ্রেড ও গুণগত মান বিবেচনায় আম খুচরা কিংবা পাইকারি যেকোনো পর্যায়ে কেজি হিসেবে কেনাবেচা করতে হবে। এক্ষেত্রে আড়তদারেরা কেনাবেচার জন্য কেজিতে দেড় টাকা অর্থাৎ ১টাকা ৫০ পয়সা কমিশন পাবেন। শরুতে আমবাগানীরা কেজিতে ১টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেন। পরে দীর্ঘ আলোচনা শেষে দেড় টাকা নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আম নামানোর কর্মযজ্ঞ শুরু, কোনটি মিলবে কবে?
মূলত রাজশাহী অঞ্চলে এক মণ আম কেনার সময় আড়তদাররা ৪২ থেকে ৫৫ কেজি পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। তবে চাষিদের ৪০ কেজি বা এক মণের দাম দেন। বিভিন্ন সময় এই ‘ঢলন’ প্রথা থামাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও কার্যকর হয়নি। তবে এবার কেজি হিসাবে আমের কেনাবেচা হলে ঢলন নেয়া বন্ধ হবে বলে প্রশাসন মনে করছে।
এছাড়াও গত ২৮ এপ্রিল বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে কেজিপ্রতি দরে আম কেনাবেচা করতে সাধারণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।