সম্প্রতি এমন একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে কারা এ তালিকা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএনপির শীর্ষ নেতারা চাঁদাবাজের এ তালিকাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। আর তালিকায় জামায়াত-শিবিরের যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সংগঠনের কেউ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।
সম্প্রতি রাজশাহীতে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১২৩ জনের একটি নামের তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
আরও পড়ুন: সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন দিলে বিদ্রোহ হবে, হুঁশিয়ারি জামায়াতের
তালিকায় বিএনপি, ছাত্রদল ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম পরিচয় উল্লেখ রয়েছে। তারা কে কোথায় থেকে চাঁদাবাজি করছেন তালিকায় তাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে পতিত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২৫ জন ও জামায়াতের ৬ জনের নাম আছে চাঁদাবাজের তালিকায়। বাকিদের নাম ঠিকানা দেওয়া থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয় না থাকায় তাদের সুবিধাবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতার দাবি, গোয়েন্দা সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তালিকাটি তৈরি করার কথা জানায়নি। তাই নেতা কর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে কেউ এমনটি করে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
চাঁদাবাজের তালিকায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার ২২ জন, রাজপাড়া এলাকার ১৬, চন্দ্রিমার ১৪, মতিহারের ৭, শাহমখদুমের ১৬, এয়ারপোর্ট এলাকার ১৪, পবার ৮, কর্ণহার এলাকার ১০, দামকুড়ার ৮ জন ও কাশিয়াডাঙ্গা থানার ৮ জনের নাম আছে।
এদিকে, তালিকায় জামায়াত শিবিরের যেই ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সংগঠনের কেউ নয় দাবি করে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই তাদের দলে হবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে চাঁদাবাজির সময় ভুয়া এনএসআই সদস্য আটক
আর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা আছে যাদের বিরুদ্ধে কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো উড়ো তালিকার ভিত্তিতে ঢালাওভাবে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না পুলিশ।
নগর পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, চাঁদাবাজরা যেই দলেরই হোক, যারা চিহ্নিত চাঁদাবাজ তাদের ছাড় দেয়া হবে না।