চলতি মৌসুমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকারও বেশি আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানান রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায় নেতারা।
আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা নওগাঁ জেলার বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে নানা জাতের আম। এরমধ্যে গোপালভোগ আমের মৌসুম ফুরিয়ে আসায় হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফ্রুড ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলে উৎপাদিত নানা জাতের সুস্বাদু আম ইউরোপের নানা দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। ফ্রুড ব্যাগিং করা আমের গায়ে কোন দাগ না থাকায় বিদেশে এসব আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী অঞ্চলে আমের কোন প্যাকিং হাউস না থাকায় ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানোর পর বাছাই শেষে বিমানবন্দরে পাঠাতে সময় বেশি লাগে। এতে অনেক আম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আম রপ্তানিকরণ প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি তাদের।
রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান জানান, এ অঞ্চলে যাতে আমের প্যাকিং হাউস গড়ে ওঠে সেজন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আম নামানোর কর্মযজ্ঞ শুরু, কোনটি মিলবে কবে?
চলতি মৌসুমে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানান রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো সাইফুল ইসলাম হীরক।
চলতি মৌসুমে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী এই ৩ জেলায় প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হবে। গত বছর প্রায় ৮শ’ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করা হলেও এ বছর রপ্তানি করা হবে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আম।