রাজবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

৩ সপ্তাহ আগে
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে সাথী আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রুবেল খাঁর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সাথী আক্তারের মৃত্যু হয়।

 

সাথী আক্তার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধূরদিয়া গ্রামের বিশু ফকিরের মেয়ে। তার বাবা বিশু ফকির জানিয়েছেন, ৯ বছর আগে রুবেল খাঁর সাথে সাথী আক্তারের বিয়ে হয় এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

 

বিয়ের পর থেকেই সাথী আক্তারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো রুবেল। শুক্রবার বিকেলে রুবেল তার শ্বশুরকে ফোন করে জানান, সাথী হারপিক খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর সাথীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

আরও পড়ুন: রাজবাড়ী ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার দ্বন্দ্ব চরমে, অফিস-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

 

বিশু ফকির অভিযোগ করেন, রুবেল তার মেয়েকে নির্যাতন করে হারপিক খাইয়ে হত্যা করেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে এবং হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

 

দাদশী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন শেখ জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখান থেকে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টায় সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় এবং অবশেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।

 

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাথী আক্তার বিষ খেয়ে মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন