মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল কাজী (৪৯) বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছাবনিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে মনিরুল কাজীর সঙ্গে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামের হাসি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে হাসির বাবার বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন মনিরুল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হাসির বাবা মারা যান। এরপর থেকে হাসির বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা দেয়ার জন্য তাকে চাপ দিতেন মনিরুল। হাসি জমি বিক্রি করতে চাইতেন না। ফলে হাসিকে প্রায়ই মারধর করতেন তার স্বামী।
আরও পড়ুন: সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক
২০২৩ সালের ২৯ জুন দিবাগত রাতে এ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে গোয়াল ঘরে মশার কয়েল দিতে যান হাসি। এ সুযোগে গোয়াল ঘরে গিয়ে হাসিকে গলাটিপে ও গরুর পানি খাওয়ার হাউসে চুবিয়ে হত্যা করেন মনিরুল।
৩০ জুন সকালে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই হাসির ভাই ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মনিরুলের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মনিরুল আদালতেও স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। হাসি ও মনিরুল দম্পতির ১৩ বছর বয়সী এক ছেলে এবং ১৮ ও ১০ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘আসামি আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। আবার তাদের দুই সন্তান এই মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। ফলে আজ আদালত যে রায় দিয়েছেন আমরা অনেক খুশি। বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।’