রাজবাড়ীতে কদম হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৪ আসামি গ্রেফতার

২ সপ্তাহ আগে
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সোনাপুর বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে মিলন কদম (৩৫) হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুধবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব।


নিহত মিলন ওরফে কদম কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চর কুলটিয়া গ্রামের খবির মোল্লার ছেলে।


গ্রেফতার আসামিরা হলেন: বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী মিয়া পাড়া গ্রামের মো. ফরহাদ মিয়ার ছেলে মো. মিজান মিয়া (১৯), সদাশিবপুর গ্রামের মৃত নান্নু শেখের ছেলে মো. লিমন শেখ (২০), পদমদী মিয়া পাড়া গ্রামের মো. মোতালেব শেখের ছেলে মো. রাজিব শেখ (২৫) ও ঘোড়ামারা গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক ফকিরের ছেলে মো. সোহাগ ফকির (২১)।


আরও পড়ুন: পল্লবীতে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের আরজু গ্রুপ ও বেতবাড়িয়া গ্রামের শিমুল গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আরজু গ্রুপ কাঁচা বাজারের খাজনা তুলতে গেলে শিমুল গ্রুপ বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারি সংঘটিত হয়। 


এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টায় শিমুল গ্রুপের লোকজন কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের খবির মোল্লার ছেলে আরজু (৪০), মো. লোকমান মণ্ডলের ছেলে মিলন ওরফে কদম (৩৫), হাবিল মণ্ডলের ছেলে বাচ্চু মণ্ডলদের (৩৮) দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।


আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে তরুণীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু, সিসিটিভিতে যা দেখা গেল


পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আরজু ও কদমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং বাচ্চুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর পৌনে ২টার দিকে কদম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় কদমের বড় ভাই মো. আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় বুধবার (২৮ মে) মামলা দায়ের করেন।


রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত চারজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিদের বুধবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন