মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই অপেক্ষা ছিল জুলাই ঘোষণাপত্রের। ৫টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত হলে পুলিশের বেষ্টনী ভেদ করে অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছি অবস্থান নেন জুলাইয়ের উত্তাল দিনে রাজপথে থাকা বিপ্লবীরা। প্রতীক্ষিত ঘোষণাপত্রে আপ্লুত অভ্যুত্থানকারী ছাত্র জনতা।
দিনটি উদযাপনে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সরকার। বেলা ১২টায় শুরু হয় আয়োজন। দিনব্যাপী আয়োজনে জুলাইয়ের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগানো নানা গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন গুণী শিল্পীরা।
ছাত্র জনতার প্রত্যাশা, দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার এবং স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে আমূল সংস্কার বাস্তবায়ন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানিক মিয়াতে মানুষের ঢল
২টা ২৫ মিনিটে শেখ হাসিনা গণভবনের থেকে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য প্রায় পাঁচ শতাধিক বেলুন উড়িয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত জনতা।
বাঙালি যেকোনো স্বৈরতন্ত্রের কাছে মাথা নোয়ায় না, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্র জনতার শপথ, বৈষম্যহীন ও সত্যিকারের মানবিক বাংলাদেশ।
]]>