আন্দোলন-সংগ্রাম, দাবি আদায়ে অবরোধ-অবস্থান যেন বেড়েই চলছে মহানগরীতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কিছুতেই কমছে না এমন প্রতিবাদী কর্মসূচি।
শহরের যে কোনো প্রান্তে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চললে, তার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পুরো শহরের ওপর পড়ে। স্থবির হয়ে যায় যান চলাচল, যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে নগরবাসীর।
সাম্প্রতিক সময়ে শাহবাগে সরকারি চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীদের আন্দোলন, সায়েন্সল্যাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান, ভর্তি প্রথা বদলের দাবিতে রেসিডেনসিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, চিকিৎসার দাবিতে আহতদের সড়ক অবরোধ, সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে মহাখালীসহ ঢাকার একাংশ অচল হয়ে যায় তিতুমীর কলেজের আন্দোলনে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন স্থগিত /তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কি না, যাচাইয়ে কমিটি
অপরিকল্পিত এই মেগাসিটিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা। সাধারণ মানুষ জিম্মিদশায় পড়ে, এমন আন্দোলনে বিরত থাকার পরামর্শ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের। তিনি বলেন, ‘যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। কিন্তু এইভাবে রাস্তা আটকে মানুষকে জিম্মি করা, অসহনীয় যানজট সৃষ্টি করার প্রবণতা যদি অব্যহত থাকে; তাহলে আমি মনে করি, সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।’
আর নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে বিকল্প ভাবনার তাগিদ বুয়েটের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজের। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশেই এটা দাবি আদায়ের মাধ্যম না। তারা মানববন্ধন করে বা ফুটপাত বরাবর দাঁড়ায়, লিফলেট বিতরণ করে। তারা ধাপে ধাপে আগায়। কিন্তু আমাদের সরাসরি রাস্তা আটকে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এটা ভালো উদাহরণ না। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।’
গণদাবি মেটানোর পাশাপাশি, নগরের যানজট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে কৌশলী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।