রাকসু নির্বাচন পেছানোর প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

১ সপ্তাহে আগে
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাকসু নির্বাচনের সময় পেছানোয় বেশিরভাগ প্যানেলের প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্রার্থীরা এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেছে।

 

এর আগে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী বারবার ষড়যন্ত্র করেছে নির্বাচনে বাধা দিতে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনের আগে পোষ্য কোটার মতো ইস্যু এনে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।’

 

তিনি জানান, ‘ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনের সময় পেছানোতে আমরা হতাশ। একটা পক্ষ কখনো চায় না যে শিক্ষার্থীরা ক্ষমতায়ন হোক। যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে, তার দায়ভার প্রশাসনের। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’

 

আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন পেছানোর কারণ জানালেন কমিশনার মোস্তফা কামাল

 

অন্যদিকে ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা কখনোই সম্ভব ছিল না। কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের সর্বাধিক উপস্থিতি ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতো। এজন্য আমরা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পেছানোর আহ্বান জানাই। আশা করছি ১৬ অক্টোবর সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

 

এদিকে, নির্বাচনের পেছনের কারণ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, একদিকে ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আন্দোলন চলছিল, অন্যদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যায়নি। এজন্য ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি।’

 

মোস্তফা কামাল আকন্দ আরও বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন নিয়ে পুরো জাতির আগ্রহ রয়েছে। আমাদেরও আগ্রহের কোনো ঘাটতি নেই। ১৬ অক্টোবর সব পক্ষকে নিয়ে ইনক্লুসিভ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন বদ্ধপরিকর।’

 

তিনি নিশ্চিত করেন, ৩৫ বছর আগে নির্বাচনের স্থগিত হওয়ার ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে না। তিনি বলেন, ‘১৬ অক্টোবর ইনশাল্লাহ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন কোনো দল বা মতবাদের পক্ষে কাজ করছে না।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন