সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন রাকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানোর পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘যাদের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষেতেই আজকের এই পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধরনের প্রহসন কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক প্রার্থী রাকসু নির্বাচন করতে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস পর্যন্ত করতে পারেননি। অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে শিক্ষার্থীরা প্রচারণা চালিয়েছেন। সব বিষয়কে উপেক্ষা করে একটি দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়ন ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছে।’
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন পেছাল
মোস্তাকুর রহমান আরও বলেন, আপনারা আরও খেয়াল করে দেখবেন, ছাত্রদল হলে প্যানেল দিতে পারেনি। এই কারণে নির্বাচন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। আজ আবারও পরিকল্পিতভাবে পোষ্যকোটা ইস্যুকে সামনে এনে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো। শিক্ষক ও কর্মকর্তা হেনস্তার ঘটনা ঘটলো। এরই প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিং হলো এবং তদন্ত কমিটি গঠন হলো। কিন্তু অবাক করার বিষয় এই যে, সকল বিষয় উপেক্ষা করে শিক্ষক-কর্মকর্তা হেনস্তাকে সামনে এনে ক্যাম্পাসে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা মনে করি, পোষ্য কোটা, শিক্ষক নির্যাতন, শাটডাউন ইত্যাদি ইস্যুকে সামনে এনে রাকসুকে বানচাল করতে বিএনপিপন্থি শিক্ষক, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
]]>