রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রার্থীরা তাদের ইশতেহার সংবলিত লিফলেট বিতরণ করছেন। নানা কৌশলে তারা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটার রায় নিজের পক্ষে নিতে।
সব মিলিয়ে উৎসবমুখর এক পরিবেশ পরিবেশ বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে তেমন কোনো বড় ধরনের আচরণবিধে লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে না। রাকসু, সিনেট ও হল সংসদে মোট ৯০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন: প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি প্রার্থীদের, জমে উঠেছে প্রচারণা
৯টি একাডেমিক ভবনের ১৭ টি কেন্দ্রে আগামী ১৬ই অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। মোট বুথ কেন্দ্র ৯৯০ টি। হল সংসদে মোট নির্বাচিত হবেন ৩১৭ জন, সিনেটে ৫ জন, রাকসুতে ২৩ পদে নির্বাচিত হবেন।
রোববার রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট- এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে সকাল সাড়ে দশটায় প্রার্থীদের নিয়ে একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে নির্বাচন কমিশনের কাছে নানা প্রশ্ন করেন প্রার্থীরা। পরে প্রশ্নের উত্তর দেন রাকসু নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।
আরও পড়ুন: রাকসু: ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ হাসান নকীব। তিনিও ভোটের দিন প্রার্থীরা কি করতে পারবেন আর কি পারবেন না তা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।