শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে জনউদ্যোগ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, উদীচী, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জনউদ্যোগ গাইবান্ধার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। রংপুরে হিন্দুদের ওপর এ ধরনের হামলা মানুষের মনে চরম আতঙ্ক তৈরি করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, অভিযুক্ত কিশোর গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও হামলা হয়েছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। যা সংখ্যালঘু নির্যাতন শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয় নয়, এটি গভীর রাজনৈতিক সংকটের অংশ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সেতুর উদ্বোধন পিছিয়ে ২৫ আগস্ট
সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে এ ঘটনাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বারবার সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ নীতি প্রণয়ন, অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্বকে সাম্প্রদায়িক উসকানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।