রংপুর মেডিকেলে বন্ধ পিসিআর ল্যাব-আইসোলেশন সেন্টার, ঝুঁকিতে রোগীরা

৫ দিন আগে
নতুন করে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়লেও প্রয়োজনীয় কিট, রিএজেন্ট আর জনবল সংকটে বন্ধ রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই পিসিআর ল্যাব। ফলে করোনা পরীক্ষার জন্য এখন একমাত্র ভরসা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। অন্যদিকে এখনও প্রস্তুত হয়নি আইসোলেশন সেন্টার।

দেশে আবারও শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণ। তবে রংপুরে নেই জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা। এরই মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে নিজের গতি প্রকৃতি বদলেছে করোনা ভাইরাস। এ কারণে উপসর্গ বোঝার আগেই আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। এ অবস্থায় পুরাতন কিট কতটা কাজ করবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

 

রংপুর মেডিকেল কলেজ মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের  বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মোস্তাকিমুর রহমান বলেন, করোনার অনেক ভ্যারিয়েন্ট এসেছে। তাই বর্তমানে যেই অ্যান্টিজেন ও পিসিআর কিট চালু রয়েছে, সেটি সেম রেজাল্ট নাও দিতে পারে। ফলে পিসিআর নেগেটিভ হলেও করোনা পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

 

আরও পড়ুন: নেই দক্ষ জনবল, ভোলা জেনারেল হাসপাতালে অচল আইসিইউ ও আরটিপিসিআর ল্যাব

 

এদিকে, রংপুর মেডিকেল কলেজে ২০২০ সালে চালু হওয়া আরটি পিসিআর ল্যাব দীর্ঘদিন ধরে অচল। তবে একটি নতুন পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলেও প্রয়োজনীয় কিট, রিএজেন্ট আর জনবল সংকটে শুরু হয়নি কার্যক্রম। এখনো প্রস্তুত হয়নি করোনা আইসোলেশন সেন্টার।

 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, মাঝে দুই বছর করোনা সংক্রমণ কম থাকায় জনবল বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। কেউ কেউ হয়ত প্রজেক্টের আওতায় ছিলেন; তাদের চাকরি শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে জনবল দিতে ডিজি অফিসে জানানো হয়েছে।

 

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটিতে এর আগে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিকেই আবার কোভিডের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে রংপুর বিভাগে ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন