বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. মো. ওয়াজেদ আলী।
বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ৪০০ করে মোট ৮০০টি করোনা শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভাগের অন্যান্য হাসপাতালেও পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আরটি-পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে নমুনা বিশ্লেষণ চালু হয়নি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন, আরটি-পিসিআর চালু করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে কিটের মেয়াদ এবং সরবরাহ সীমিত হওয়ায় ঢাকা থেকে অগ্রাধিকারে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করছে।
তিনি আরও জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিন এখনও ক্যালিব্রেটেড নয়, সে কারণে সেখানে এখনো পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেশিনটি ক্যালিব্রেটেড হলে রংপুর মেডিকেলেও পূর্ণমাত্রায় পরীক্ষা চালু হবে। টেকনিক্যাল বিষয় তাই কবে নাগাদ চালু হবে তা তিনি বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন বন্ধ রংপুর বিভাগের সরকারি টেক্সটাইল মিল, শ্রমিকরা কর্মহীন
স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত রংপুরে শনাক্ত নেই। রংপুর কেন সারা দেশে খুব বেশি পজেটিভ নেই।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরীক্ষার আওতা বাড়ানো গেলে দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত ও প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এ জন্য স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অপ্রয়োজনে ভিড় এড়িয়ে চলা এবং সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেন জানান স্বাস্থ্য বিভাগ।