এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন শাহরুখ খান। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা লিখেছেন। যে পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে, শাহরুখ খান তার দেশবাসীকে প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমান ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজের জীবনের কিছু স্মৃতিচারণ করেছেন বলিউড বাদশা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর হামলায় যা বললেন শাহরুখ-সালমান, প্রিয়াঙ্কারা
১৯৮১ সাল, যখন অভিনেতার বয়স মাত্র ১৫ বছর তখন বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। এরপর ২০১২ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে পা রাখেননি নায়ক। শাহরুখ তার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে না পারার আক্ষেপ জানিয়েছেন।
শাহরুখের কথায়, ‘কাশ্মীরে আমাকে বন্ধুরাও বহুবার ডেকেছে, আমার পরিবার ছুটিতে বেড়াতে গেছে- শুটিংয়ের সুযোগও এসেছে। আমি কাশ্মির যাইনি। কার সঙ্গে কাশ্মীর যাব? বাবা নেই যে আর! ওখানে গেলে বাবাকে মিস করব। বাবার জীবনের অনেকটা উপত্যকায় কেটেছে।’
২০১২ তে যশ চোপড়া ‘জাব তাক হ্যায় জান’ ছবিটি তৈরি করেন। প্রযোজককে তিনি বাবার মতোই সম্মান করতেন, ভালোবাসতেন। তাই যশ যখন তাকে বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে চলো। আমি তোমাকে কাশ্মীর দেখাব’, না করতে পারেননি তিনি। বাবা মারা যাওয়ার ৩১ বছর পর সেটিই প্রথম কাশ্মীর ভ্রমণ ছিল শাহরুখের।
পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানান, যশ চোপড়ার সঙ্গে উপত্যকা ঘুরে দেখতে দেখতে তার মনে হয়েছিল, বাবা প্রযোজকের রূপ ধরে তাকে কাশ্মীর চেনাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের পর বাড়ি ছাড়লেন আমির, কিন্তু কেন?
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এরই মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) একটি প্রক্সি গোষ্ঠী। ঘটনাটি ঘটে বৈসারণে। যাকে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়। এর তৃণভূমি এবং মনোরম দৃশ্যের জন্য এটি সুপরিচিত। পেহেলগাম থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। বসন্ত এবং গ্রীষ্মের মাসগুলোতে এই স্থানটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়, যা ভারত এবং বিদেশ থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।