সোমবার (২ জুন) জেলা যুবদলের দফতর সম্পাদক মো. আল আমিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জেলা সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশনায় মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সিমকার্ড তোলার জন্য একটি দোকানে যাই। এ সময় পুলিশ এসে আমার নাম জানতে চায়। এ নিয়ে ওনাদের সঙ্গে আমার তর্কবিতর্ক হয়। দোকান থেকে কেউ তখন চলে গেছেন কি না, আমি দেখিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। দীর্ঘ সময় জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে আবার একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছি।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি ও দোকান দখল, ৩ যুবদল নেতা গ্রেফতার
জানা গেছে, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে ধরতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে ১৫ মে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এস.আই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশকে দোকানে ঢুকতে দিচ্ছেন না মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে সোহাগ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। তবে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি বলে যুবদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।